নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট | 95 বার পঠিত | পড়ুন মিনিটে
প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে পরিচিত মুখ স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ। সরকারের আর্থিক সহায়তায় ডিসএবলড ও বয়স্ক বাংলাদেশিদের সেবা প্রদানে হোম কেয়ার ব্যবসার প্রবক্তা তিনি। তিনিই প্রথম সরকারি এই সেবা গ্রহনের বার্তা নিয়ে কমিউনিটির সামনে হাজির হন। গড়ে তোলেন বাংলা সিডিপ্যাপ ও আলেগ্রা হোম কেয়ার।
গত ১ দশকে হোম কেয়ার ব্যবসা কমিউনিটিতে বাপক প্রসাড় ঘটেছে। সময়ের আর্বতনে এই মহতী পেশার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। প্রতিবারই আবু জাফর মাহমুদ তার বিরুদ্ধে অবস্থান গড়ে তুলেছেন। সভা সমাবেশসহ লোবিং ফার্ম নিয়োগ করে হোম কেয়ার ব্যবসার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে আলবেনিতে গিয়েছেন। সম্প্রতি এমনি আর একটি আঘাতের কথা শোনা যাচ্ছে। হোম কেয়ার সেবা নিয়ে নিউইয়র্ক স্টেট গর্ভনর ক্যাথি হোকুলের কথিত পদক্ষেপে ২ লক্ষাধিক ডিসএবলড ও বয়স্ক নিউইয়র্কারের সেবা প্রাপ্তি হুমকির মুখে পড়বে। প্রায় লক্ষাধিক এই সেবাদানকারি চাকুরি হারাবেন। গর্ভনর ক্যাথি হোকুল ও স্টেট এসেমব্লি স্পীকার কার্ল হেস্টি সম্প্রতি ৮ বিলিয়ন ডলারের মেডিকেইড হোম কেয়ার কর্মসূচির দুর্নীতি বন্ধের নামে জনস্বার্থ বিরোধী প্রস্তাব এনেছেন। মেডিকেইড সেবা খাতকে গণমুখি করার পরিবর্তে তা তুলে দিতে চাচ্ছেন একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের হাতে। বর্তমানে তা পরিচালিত হয় স্টেটের নিয়ন্ত্রণাধীন ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ এর মাধ্যমে। নিউইয়র্ক পোষ্টে এ ধরনের একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে গত ১১ এপ্রিল। এতে বলা হয়, জর্জিয়ার আটলান্টা বেজড পিপিএল ইনক নামের ফাইন্যানসিয়াল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস কোম্পানী এককভাবে মেডিকেইডকে বিল করে সিডিপ্যাপ সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পে করবে। নিউইয়র্কের ৭ শত হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করবে। বাংলাদেশি কমিউনিটির বেশ কয়েকটি হোম কেয়ার প্রতিষ্টানের কর্মকর্তা সহ ২ শতাধিক ব্যবসায়ী গত বুধবার আলবেনিতে গিয়ে প্রতিবাদ সভা করেন। এতে শাহ নেওয়াজ, গিয়াস আহমেদ, আকাশ রহমান ও শাহাজাদি পারভীন, আলমাস আলী ও আবু বকর সিদ্দিক সহ অনেকেই অংশ নেন। আবু জাফর মাহমুদ গর্ভনর হোকুলের জনস্বার্থ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে পারেন নি। তিনি প্রায় ২০ দিন ধরে দেশের বাইরে রয়েছেন। পবিত্র ওমারহ হ্জ্ব পালনের জন্য ছিলেন সৌদি আরব। এরপর তিনি মুসলমানদের প্রথম কেবলা জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে লন্ডনে। বর্তমানে রয়েছেন হলান্ডে। দু একদিনের মধ্যে তিনি নিউইয়র্কের দিকে রওনা হবেন। সিডিপ্যাপ সংকট নিয়ে তার সাথে মুঠোফোনে প্রতিবেদকের কথা হয় শনিবার ২০ এপ্রিল।
আবু জাফর মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন সময়ে নিউইয়র্ক স্টেটের আমলা ও কতিপয় রাজনীতিকদের দ্বারা পবিত্র হোম কেয়ার ব্যবসার ওপর হামলা এসেছে। যেমনটি গতবার এসেছিল লিড এফআই এর নামে। আমাদের তীব্র আপত্তিতে তা এগুতে পারে নি। অবারও এমন একটি আঘাত আসতে পারে আমি আগ থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম। ওয়েস্টচেষ্টার কাউন্টির ইয়ংকার্সে গেল বছরের শেষদিকে হোম কেয়ার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সমাবেশ হয়। এতে নিউইয়র্ক স্টেটের ২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন ডিস্ট্রিক্ট ৯০ এর এসেম্বলিম্যান নাদের শেইগ ও এসেম্বলিম্যান (ডিস্ট্রিক্ট ২৮) এন্ড্রুউ হাভেসী। পরবর্তীতে তারাই আলবেনিতে লবিষ্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। নিউইয়র্ক স্টেট জনপ্রতিনিধিরা এ বছরের শুরুর দিকে আমার অফিসও ভিজিট করেছেন। অন্যান্য কমিউনিটির প্রায় ৫০টি হোম কেয়ার প্রতিষ্ঠানের সাথে আমার যোগাযোগ রয়েছে। তাদেরকেও এ আন্দোলনে শরীক করতে হবে। আমাদের কমিউনিটির বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী সম্প্রতি হোম কেয়ার ব্যবসায়ী আলবেনিতে গিয়ে গর্ভনর হোকুলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এটি একটি ভালো উদ্যোগ।
আবু জাফর মাহমুদ বলেন,আমি ইতোমধ্যেই এ আন্দোলনে রয়েছি। নিউইয়র্কে ফেরার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব। গর্ভনরের উদ্যোগ নিউইয়র্ক স্টেটের জনগনের স্বার্থের পরিপন্থী। নিউইয়র্ক স্টেট এর আইনপ্রণেতারা তার এ উদ্যোগে সায় দিচ্ছেন না। গর্ভনরের উচিৎ হবে তার প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়া।
তিনি বলেন, নিউইয়র্ক স্টেট এ বসবাসকারী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির প্রবীন সদস্যদের জন্য সিডিপ্যাপ ও হোম কেয়ার সেবা অন্যতম মানবিক সহযোগিতা। এই সহযোগিতা বাতিলের পক্ষে কাজ করছে বড় বড় কর্পোরেট পুঁজির মালিক। নিউইয়র্ক স্টেট এর এই সহযোগিতা রক্ষার জন্য সকল জনপ্রতিনিধির সমর্থন চাই।
Posted ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
nykagoj.com | Monwarul Islam